শিরোনাম
সিলেটে জমছে আলোচনা,নির্বাচনের ময়দানে আল ইসলাহ রায়গঞ্জে নিষিদ্ধ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী’র বিক্ষোভ‎ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত শেরপুরে সীমান্তবর্তী সোমেশ্বরী নদীর উপর সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগে ১০ হাজার মানুষ দুই যুগ পর জামালপুরে রক ফেস্ট ২.০, মঞ্চ মাতাবেন সাইফ শুভ ও লালন ব্যান্ড গাংগুরিয়া ডিগ্রী কলেজে শিক্ষক ও কর্মচারীর অবসর জনিত বিদায়ী সংবর্ধনা পটিয়ায় পীরে তরিকত মোস্তাক বিল্লাহ সুলতানপুরীর ইন্তেকাল টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানীর ৪৯তম ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষে ৭ দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় অগ্নিকাণ্ডে ১০ দোকান পুড়ে ছাই পোরশায় অগ্নি প্রতিরোধ,নির্বাপন,ভুমিকম্প ও উদ্ধার বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত রায়গঞ্জে নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৫
শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৫

আলোচনায় ‘সেফ এক্সিট’ ইস্যু

আলোকিত সকাল প্রতিবেদক
প্রকাশিত:বুধবার ০৮ অক্টোবর ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ অক্টোবর ২০২৫ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক মাঠ এখন গরম। চার মাস পর ভোট, প্রধান উপদেষ্টা বারবার আশ্বাস দিচ্ছেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন হবে। এই সময়ে সরকারের ভেতর থেকেই যখন ‘সেফ এক্সিট’ শব্দটি ভেসে ওঠে, তখন তা শুধু বিতর্ক নয়, একধরনের আস্থার সংকটের ইঙ্গিত দেয়।


এরই মধ্যে কিছু উপদেষ্টা ‘সেফ এক্সিটের’ কথা ভাবছেন বলে দাবি করছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক উপদেষ্টা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কেউ কেউ নিজেদের নিরাপদ প্রস্থানের পথ খুঁজছেন।

এনসিপি নেতাদের টিভি মালিকানা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন নুর


নাহিদ ইসলামের এ মন্তব্যে মুহূর্তে রাজনৈতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়ে উত্তাপ। টেলিভিশনের টক শো ও সমাজমাধ্যমে শুরু হয় ব্যপক আলোচনা। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে নাহিদের মন্তব্য নিয়ে কথা বলছে। নানান আলোচনা হচ্ছে সরকারের ভিতরেও। আলোচনার পাশাপাশি অনেকে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাদের যুক্তি, নাহিদ ইসলাম একসময় ছিলেন সরকারের ভিতরের লোক। পরে সরকার থেকে বেরিয়ে এলেও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে সরকারসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে। তার কাছ থেকে যখন এ ধরনের মন্তব্য আসে তখন সেটা নিঃসন্দেহে গুরুত্ব পায়।


সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম আরও বলেছেন, ‘উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছেন। তারা নিজেদের সেইফ এক্সিটের কথা ভাবতেছেন। এটা আমাদের অনেক পোহাতে হচ্ছে এবং পোহাতে হবে। কিন্তু তারা যদি এটা বিশ্বাস করতেন যে তাদের নিয়োগকর্তা ছিল গণঅভ্যুত্থানের শক্তি, রাজপথে নেমে জীবন দেওয়া ও আহত সাধারণ মানুষজন এবং তারা যদি তাদের ওপর ভরসা করতেন, তাহলে উপদেষ্টাদের এ বিচ্যুতি হতো না।’


নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের পর গতকাল একই ইস্যুতে আরও আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘কিছু উপদেষ্টার মধ্যে দেখা যাচ্ছে, তারা কোনোভাবে দায়সারা দায়িত্ব পালন করেন, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এক্সিট নিতে পারলেই হলো, দেশে থাকুক আর দেশের বাইরেই থাকুক। এ দায়সারা দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অভ্যুত্থান-পরবর্তী একটি সরকার কাজ করতে পারে না। তারা এত শহীদ, রক্তের ওপরে দাঁড়িয়ে ওখানে (সরকারে) আছেন। তারা যদি এমনটা করে থাকেন, তাহলে দেশের মানুষের সামনে মুখ দেখাতে পারবেন না। যারা এ ধরনের চিন্তা করেন তাদের জন্য মৃত্যু ছাড়া কোনো সেফ এক্সিট নেই। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাক বাংলাদেশের মানুষ তাদের ধরবে।’


এনসিপির পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করা হচ্ছে। পাশাপাশি কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের তির ছোড়া হয়েছে। সরকারের ভূমিকায় অনেকটা হতাশ তারা। তাই সেই দৃষ্টিকোণ থেকে সেইফ এক্সিটের কথা বলা হয়েছে বলে দলটি তাদের ব্যাখ্যায় জানিয়েছে।


অন্যদিকে বর্তমান সরকারকে সমর্থন দেওয়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলও সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার মন্তব্যে দারুণ বিরক্ত বলে জানান। তাদের মন্তব্য, কোনো কোনো উপদেষ্টা হয়তো ক্ষমতা আরও বেশিদিন উপভোগ করতে চান। এ কারণে কোনোভাবে নির্বাচন বানচাল করার পাঁয়তারা করছেন। পাশাপাশি নিজেরা সেইফ থাকার চেষ্টা করছেন।


প্রায় একই সুরের ব্যাখ্যা পাওয়া গেল রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারীর কাছ থেকেও। তাঁর মন্তব্য, ইউনূস সরকারের অনেক ভুল রয়েছে। এসব ভুলের কারণে চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানের ফসল জনগণ পায়নি। এ কারণে নির্বাচনের আগে উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিটের কথা আসছে।


নাহিদ ইসলাম সেফ এক্সিট নিয়ে যেসব কথা বলেছেন সেসব জনগণের কথা বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী। তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস সাহেব হচ্ছেন ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি। কিন্তু উনি সবচেয়ে বেশি বোকামি করেছেন অভিজ্ঞ ও নিরপেক্ষ রাজনীতিবিদদের সরকারে যুক্ত করেননি। উনি সরকারে নিয়েছেন এনজিও ব্যক্তিত্বদের। বিশ্বব্যাংকের লোকদের। যারা সব সময় বিদেশিদের টাকায় নিজেদের আখের গোছান। পাশাপাশি তিনি আঞ্চলিক পর্যায়ের লোকদের গুরুত্ব দিয়েছেন। উনার মতো ব্যক্তির কাছে এটা কারও প্রত্যাশিত নয়।’


রাজনৈতিক অঙ্গনে হঠাৎ কেন আলোচনায় সেইফ এক্সিট-এমন প্রশ্নে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, ‘গণ অভ্যুত্থানের পরে এ সরকার গঠিত হয়েছে। সে হিসেবে এটা জনগণের সরকার। এ সরকারের যেভাবে কাজ করার দরকার ছিল, উপদেষ্টাদের বলিষ্ঠ ভূমিকা নেওয়ার দরকার ছিল সেটা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। বিশেষ করে সংস্কার, বিচার ও জনগণের কল্যাণকর কাজে। প্রধান উপদেষ্টা যখন নির্বাচনের রোডম্যাপ দিলেন তখন দেখা গেল পুরো প্রশাসন স্থবির হয়ে গেল। উপদেষ্টারাও এক প্রকার নির্লিপ্ত হয়ে গেলেন। এ সরকারের প্রতি আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল তা তারা পূরণ করতে পারেনি।’


একই প্রসঙ্গে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সেফ এক্সিট আলোচনার প্রথম কারণ মনে হয় উপদেষ্টাদের নানান অসংলগ্ন কথাবার্তা। আর এর প্যান্ডোরার বাক্স খুলেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আমার ধারণা, নাহিদরা যেভাবে চেয়েছিলেন উপদেষ্টাদের একটা অংশ সেভাবে কাজ করেননি। প্রথম দিকে সরকারের সঙ্গে এনসিপির যে টিউনিংটা ছিল পরে তাতে পার্থক্য তৈরি হয়েছে। চরিত্রের দিক থেকে এ সরকার একটা দলনিরপেক্ষ সরকার। এজন্য তাদের সবাইকে আমরা সমর্থন করছি। এ পরিস্থিতিতে সরকার একটা বা দুইটা দলকে সমর্থন করতে গিয়ে তাদের নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। এ কারণে মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিতে পারে।


আরও খবর




মধ্যনগরে যুবলীগ ও মৎস্যজীবী লীগের দুই নেতা আটক

বিচারকের পরিবারের ওপর হামলা: সম্পর্ক, টাকা নাকি প্রতিশোধ?

নিষিদ্ধ আ‘ লীগের নাশকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

সাংবাদিকের নামে ভুয়া আইডি খুলে প্রতারণার দায়ে মামলা নাটোরে ল্যাব সহকারী অনিকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

মনিরুল হক চৌধুরীর আবেদনে নিমসারে সাবরেজিস্ট্রি অফিস স্থাপনের অনুমোদন

কুমিল্লা-১১(চৌদ্দগ্রাম) আসনে বিএনপি প্রার্থী হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা খ্যাত কামরুল হুদার ব্যাপক গণসংযোগ।

নিষিদ্ধ আ‘ লীগের নাশকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

পুকুরে এখন সোনালী সাফল্য — রামপালে মাছ চাষে স্বনির্ভর অনেক পরিবার

সিলেটে জমছে আলোচনা,নির্বাচনের ময়দানে আল ইসলাহ

রাজশাহীতে বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

রায়গঞ্জে নিষিদ্ধ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী’র বিক্ষোভ‎ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ভুয়া ব্যবসায়ী সেজে কোটি টাকার প্রতারণা,র‍্যাবের জালে ৬ সদস্যের চক্র

রায়গঞ্জে নিষিদ্ধ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী’র বিক্ষোভ

শেরপুরে সীমান্তবর্তী সোমেশ্বরী নদীর উপর সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগে ১০ হাজার মানুষ

মধুপুরে ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্লেগ্রাউন্ড নির্মাণ উদ্যোগ: শিশুদের বিকাশে নতুন দিগন্ত

অশ্রু আর ক্ষোভে ভরা তৃণমূল

বান্দরবান ৩০০ নং আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থী প্রভাষক রিপন চক্রবর্তী

বাসাবো বিশ্বরোড থেকে নন্দীপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত সড়ক দ্রুত সংস্কার না হলে সিটি কর্পোরেশন ঘেরাও করা হবে :হাবিবুর রশিদ হাবিব

নীলফামারী-৪ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হচ্ছেন আবু সালেহ মুসা

সাতক্ষীরার 'মাদক সম্রাট' খ্যাত ইসমাইল অবশেষে গ্রেপ্তার

জনতা ব্যাংক ড্রেজার সংস্থা শাখায় ‘গ্রাহক সেবা পক্ষ’ অনুষ্ঠা‌নে গ্রাহক‌দের সন্তুষ্টি প্রকাশ

রামপালে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত

সিদ্ধিরগঞ্জে ফার্মেসিতে অভিযান, তিন প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

নোয়াখালীতে পথচারী নারীকে বাঁচাতে গিয়ে ২ তরুণের মৃত্যু

“পর্যটন ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনায় প্রয়োজন ৩০ কিলোমিটার রেললাইন সম্প্রসারণ”

অর্থের অভাবে ঝরে পরা মেধাবী শিক্ষার্থী যেতে চায় স্কুলে!

ফুলপুরে শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদ করায় দাদীকে খুন, গ্রেফতার-১

পাটলাই নদীতে‘নাব্যচিহ্ন’নামে চাঁদাবাজি: আক্তার–বকুল চক্রের ভয়াল দৌরাত্ম্য

ফুলপুরে পরকীয়ার জেরে চাচার হাতে ভাতিজা খুন

“৩০ কিলোমিটার রেললাইন সম্প্রসারণ, বদলে দিতে পারে হাওরের অর্থনীতি ও পর্যটন শিল্প ”


এই সম্পর্কিত আরও খবর

হোসেনপুরে বিএনপি নেতা মবিনের জনসমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সুনামগঞ্জ-১: বিএনপি–জামায়াত মুখোমুখি, আ.লীগ ভোট নির্ধারক

ত্রয়োদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বরগুনা-১ আসন

পঞ্চগড়ে দিন-রাত ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিএনপির ৩১ দফার প্রচারণা চালাচ্ছেন- ব্যারিস্টার নওশাদ জমির

গণভোট আয়োজনে নানা চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনে স্বচ্ছতা থাকার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছে ইইউ: আমীর খসরু

বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ বাদ দিতে চায় ইসি

জাতীয় নির্বাচনে জোটসঙ্গীদের ৪০-৫০টি আসন ছাড়ছে বিএনপি

বিএনপির সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

‘ফেব্রুয়ারির ভোট নিয়ে শঙ্কা নেই, তবে জুলাই সনদ সংস্কার প্রয়োজন’