
সিদরাতুল মুনতাহার পথে
মো. সেলিম হাসান দুর্জয়
রাত্রির গাঢ় নিস্তব্ধতায়, বিশ্ব ঢুলে ঘুমে
ঢেকে গেলে সব,
নেমে আসে এক স্নিগ্ধ ডাক
মুনাজাতের (রাতের প্রার্থনা) পথ খুলে।
পৌঁছে যায় পরমাত্মার দীপ্ত সিদ্ধান্ত
সিদরাতুল মুনতাহার সোনালি সীমা পর্যন্ত।
চোখে ঘুম, হৃদয়ে জাগরণ,
বাজে অন্তরে আয়াত - অশ্রুসিক্ত ফাজিল জাহিল
কুম ফা-অনযির (ওঠো! সতর্ক করো),
রূহকে (আত্মাকে) জাগাও,
জায়নামাজরত হে প্রিয় মনজিল।
আকাশ থেকে নামে রহমতের নীরব বৃষ্টি,
বরকত লুকিয়ে থাকে শেষ প্রহরে
এযে রবের রহমত অপার সৃষ্টি।
সুবহান মান ইয়ারা দামআল খাফি
(পবিত্র তিনি, যিনি দেখে নিঃশব্দ অশ্রু),
বিছানার আরামে না থেকে উঠে দাঁড়ায় যবে,
তাঁর কপাল ছুঁয়ে যায় প্রেমিকের সিজদাহ তবে।
সে বলে: ইয়া রাব্বি। (হে প্রভু।) আমি এসেছি,
শূন্য আমি... তবু আশাবাদী
গ্রহণ করো, গ্রহণে মুক্তি মেলে যদি।
তারাকাশ জ্বলে ওঠে নূরের আলোয়,
কি অপূর্ব সে আলিঙ্গন পবিত্র সে মায়া
জমিনে নামে ইনসাফ আর ইখলাসের ছায়া।
নাম না জানা ফেরেশতারা করে হামদ,
মুমিন ফেলে অশ্রু
আমি যে মুসাফির.. তবুও
হৃদয়ে স্বর্গসম প্রশান্তি - মুক্তির অছিলা,
এ এক খামোশ ফরিয়াদ
প্রেমিক ও প্রভুর মাঝখানে রাখা রহস্যময় ওয়াসিলা।
রদিতু বিল্লাহি রাব্বা
(আমি আল্লাহকে আমার প্রভু হিসেবে গ্রহণ করেছি)
এ শুধু উচ্চারণ নয়, আত্মসমর্পণ পূর্ণ আশা
এযে ফজরের আগে জাগা এক অশ্রুময় ভালোবাসা





































